নদী-নালার মাঝে বেড়ে ওঠার মজাই আলাদা । জোয়ারের সময় যখন পানিতে থৈ থৈ করতো তখন রাস্তার সামনে দাড়িয়ে সে দৃশ্য কত হাজার বার দেখেছি। এমন কি পানিতে ঝাপ দিয়ে সাঁতার কাটায় পাল্লা দিতাম। প্রতি আমাবশ্যার জোয়ারের পানিতেই এমন হত। বাতাসের শুধু ভোঁ-ভোঁ শব্দ হত। স্কুল থেকে এসে বইগুলো রেখেই বেরিয়ে পরতাম। বাড়ির অন্যদেরকে নিমন্ত্রন করতে ভুলতাম না।কালু,মালু,লালন,মধু,সুমন, ইমাম, সবাই একসাথে কতইনা বাহানা করতাম।সবাই একই ক্লাসে পড়তাম বলে মজাটা বেশি হত। তখন দিনের বেলা সবাই সাধু সাজতাম কিন্তু রাতের বেলা অন্য বাড়ির ডাব যেন ঝুণা হতে না পারে সে দিকেও খেয়াল রাখতাম ।সন্ধার পর জুয়েল গাজীর সিনেমা হলে সালমান শাহ-র ছবি দেখতে ভুল হত না। আমার চাচাতো নাম কুরুনি । ছবি দেখার পোকা ছিল। কাকা বছরে যা চাল খোরাক রাখত তার তিন ভাগের এক ঐ গাজীকে দিত । বিনিময়ে শুধু ছবি দেখত। অন্য রকম এক মজা হত। বিকালবেলা সব ধরনের খেলাধুলা শেষ করে সন্ধার পর আবার গাজীর দোকানে আড্ডা । আমাদের গ্রামে প্রতি রবিবার হাট বসত যেটা আমাদের গ্রামের ঐতিহ্য বহন করতো । কিন্তু কালের বিবর্তনে তা আজ বিলুপ্ত প্রায় । তার পাশের ...